বিশটি বছর আগে লেখা মোর সেই
     এলোমেলো কবিতার পান্ডুলিপিগুলো
     পুরাতন ডায়রি কিম্বা বইএর ফাঁকে
      অনাদরে পরে ছিল হেলায় সেগুলো।
     কাজের ব্যস্ততার ভিড়ের কারনে
      একবিন্দু মনে আর ছিল না তাকে।
      অসহায় যুবতি কোন মেয়ে যেন এক
      অযত্নে পরে ছিল বন্দির মতন
      কোন ভুলে, কি কারনে হলো তার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ।
      নির্জন দ্বিপের মত কেটে গেল তার
      অযত্নে অবশেষ বিশটি বছর।
      আমি যেন অন্য কোন গ্রহের ভিতর
      ঘুমিয়ে ছিলাম কিংবা ছিল না চেতন।
      কোন ঘোরে কেটে গেল এতটা বছর
      এতটুকু পাইনিতো তার সে খবর।
      শশব্যস্ত আমি যেন কোন এক কাজে
      পান্ডুলিপি গুলো যেন পরে আছে কোন এক ফাইলের ভাঁজে।
      পান্ডুলিপি সেতো নয় পান্ডুর কোন এক অসহায় মেয়ে
      কৃষকের মেয়ে এক সাজসজ্বাহীণ আর সরল গেঁয়ে।
      লাবণ্যলতার মতো মেয়ে সেতো নয়
      সাধারন মেয়ে সে যে রুপহীণ অতি অপরুপ
      ছায়া নাই, কায়া নাই সে আমার প্রেমের স্বরুপ।
      বড় দুঃখে, অভিমানে বলল সে মলিণ মুখে
      " আমায় বিবর্ণ আর বিলীণ করছো তুমি বলো কোন সুখে"?
      আমায় বাঁচাও প্রিয় ওগো গীতিময়
      অন্ধকার জিবনের কারাগারে বন্দিনী আমি এক মেয়ে
      না হয় না হোক যেন এতটুকু মায়া
      "আমি শুধু হতে চাই তোমার দেহের
      শেষ প্রহরের কোন সন্ধ্যার ছায়া"।
      ৩/৩০......১৫