এখনও সন্ধ্যা নামেনি যদিও কমলাদীঘির ঘাটে
       নামেনি আধার পুকুরের ঘাটে অথবা নদীর বাটে।
       শেষ প্রহরের মলিন আলোর রেশটুকু লেগে আছে
       কমলপুরের মেঠো পথটার নরম বুকের কাছে।
       উদোম গায়ের ছেলেরা ক'জন গোটা পাচ ছয় হবে
       পথের প'রেই হৈ চৈ আর ছুটোছুটি শুধু করে।
       নরম ধুলোয় সাদা করছে যে তাদের দু'পাওখানা
       ধুলোবালি আর চিৎকারে আজ কে আর করবে মানা।
       উঠোনের কোনে খরের গাদায় কিশোরী টানছে খর
       চাড়ির মধ্যে বাসিভাত ভুষি মিশাতেছে অতপর।
       এক্ষুনি বুঝি সন্ধ্যা আসবে এই সব পাড়া গায়
       পাড়া গা'য় আজ স্বপ্ন নামছে গোধুলী আর ধোয়ায়।
       কিশোরীর বাপে হাট থেকে ফেরে বাজারের ব্যাগ হাতে
       বলে,"মাছগুলো ধুয়ে কুটে নেতো ভাল খানা হবে রাতে"।
       এর মধ্যেই দশবারো খানা হাসের ভিষণ দল
       বিল থেকে ফিরে উঠোনে এসেই জুড়ে দেয় কোলাহল।
       কোথ্থেকে এক মোড়গ নেতা হাসেরে ঠোকর মারে
       হাস বাবাজিরা একজোট হয়ে মোরগেরে ঝাল ঝাড়ে।
       কিশোরীর কালো চুলের ফিতার একেবারে উপরে
       কোথ্থেকে এক ছোকড়া ফরিং কখন যে বসে পরে।
       এভাবেই আসে এ পাড়াগায়ের সন্ধ্যাটা প্রতিদিন
       দিনের আলোর শেষ রেখাটুকু হয়ে আসে তাই ক্ষীণ।


              ৩/৩২.  রংপুর।