তুমি যদি হও কোন বৈশাখী ঝড়
      আমি হব সকরুন সাদা ছেড়া পাতা।
      আমাকে ওড়াও তুমি লক্ষ্যবিহীন কোন পথের কিনারে,
      রাগহীন কোন এক সুরের বীনারে।
      রাগহীন কোন এক রাগিনীর তারে।
      আমাকে ওড়াও তুমি তটহীন তটিনির ঢেউএর গর্জনে
      আর চোখের তর্জনে।
      আমাকে উড়ায়ে দাও সংক্ষুব্ধ ঝঞ্ঝার ভয়াল বৈশাখে
      আমাকে উড়ায়ে দাও ভাঙ্গনের ডাকে
      আর নাগিনীর রাগে।
      আমার সঙ্গি করো চৈতালী বালুকার ভিষন উত্তাপে
      আমার সঙ্গি ঝড় পৃথিবীর শাপে
      আর জীবনের পাপে।
      আমাকে ছাড়ায়ে নাও মায়াময় জীবনের বন্ধন হতে,
      আমাকে ভাসায়ে দাও কুলহীন সাগরের রুদ্রময় স্রোতে
      আমার সঙ্গিহোক দুরন্ত সন্তাপ বৈশাখী ঝড়
      আমার দুইটি চোখ উলঙ্গ দৃষ্টি, ভিষন প্রখর
      আর বহ্নিনখড়।
      আমাকে পুড়ায়ে দাও চৈত্রের খরাদগ্ধ বালুকা বেলায়
      আমারে ভাসাও তুমি কুলহীন খরস্রোতে দারুন হেলায়
      আর পাহাড় সমান কোন ঢেউএর খেলায়।
      আমার চলার পথ বৈশাখী ঝড়োময়, ঠিকানাবিহীন,
      পথের কিনারে হোক আমার রুদ্রবাস, ঠিকানাবিহীন।
      লক্ষ্যবিহীন, আর অর্থবিহীন।।


          ৭/৯.......১৫