যত কিছু গ্লানি যত কিছু অন্ধকার,
রবীন্দ্র চর্চায় ঘুচবে সে সব, যেটা আজ দরকার।
পুনশ্চ থেকে শেষলেখা তাঁর শেষ জীবনের কাব্য,
নূতন আঙ্গিকে জীবন দেখা, হতে পারে সুখ শ্রাব্য !
দূর হতে দূরে অনাহত সুরে বাজায় কে জয়ডঙ্কা,
মানব থেকে মানবেতর জীবনে সেই সুর শুনে, চলে গেছে সব শঙ্কা !
প্রীতির আলিঙ্গনে বেঁধেছেন তিনি একাত্মবোধ দিয়ে,
অদ্বৈতবোধে প্রতিষ্ঠিত হয়ে লিখেছেন এসব নিয়ে !
কবি প্রতিভার উজ্জ্বল দীপ্তি ছড়িয়েছে চতুর্দিকে,
বিজ্ঞানের যুগে চির অম্লান তিনি হয়নি আজও ফিকে !
ছন্দোরীতির প্রবক্তা হয়ে লিখেছেন কত পদ্য,
অভিনবত্ব আনতে গিয়ে করলেন কবিতা গদ্য।
সেই সুর বজায় রেখে দিলেন উপহার-পত্রপুট আর শ্যামলী,
পদ্য ভাই গদ্য হয়ে হল বনমালী !
সর্বব্যাপী স্পর্শ পেতে হয়েছেন শেষে ব্যাস্ত,
আমি তোমাদেরি লোক-আজ এই বলে হোক খ্যাত।।