বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ বিরাট বনস্পতি,
    যা কিছু লিখি বিরাজিত তিনি-যেন থেমে যায় গতি !
    কবি প্রতিভা লিখতে গিয়ে আসে ভাবানুভূতি,
    সেই রসে জারিত হলে আসে অদ্ভুত অনুভূতি !
    তাঁর দীর্ঘ কবি জীবনে আছে বিভিন্ন পর্ব;
    উকিঁ দিলে হয় সেথায় অহংকার সব খর্ব।
    সন্ধ্যাসংগীত,প্রভাতসংগীত যেন জীবনের নাম,
    নিখিল সংসারকে আত্মীয় করে ছড়ালেন সুনাম।


    সৃজনী শক্তির প্রকাশ তিনি করলেন মানসীতে,
    মানবীয় প্রেম প্রকৃতি সম্ভোগ করে যেন বসিয়ে পানসিতে !
    সোনার তরী-চিত্রা-চৈতালি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের শেষ,
    সুন্দর পৃথিবী দুর্লভ জীবন দেখতে লাগে বেশ।
    তৃতীয় পর্ব হল শুরু ক্ষণিকা,উৎসর্গ, শিশু স্মরণ দিয়ে;  
    শিশু মনের জিজ্ঞাসা অনেক দূরে যায় নিয়ে।
    গীতাঞ্জলী-গীতিমাল্য-গীতালি দিয়ে চতুর্থ পর্বের ইতি,
    মৃত্যুর মধ্যই অরুপ লুকিয়ে বোঝালেন চরৈবেতি।।