উনিশ শতকের বিশ সালে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন,
টুঙ্গিপাড়া গ্রামকে তিনি উজ্জ্বল করেছিলেন।

উনিশ শতকের ঊনচল্লিশে তার প্রথম আন্দোলন,
এভাবেই তিনি রাজনীতিতে করল অংশগ্রহণ।


মার্চের সেই সাত তারিখ,
অগ্নিঝরা ওয়াক্তে।
দেশের মানুষ তিক্ত সবাই, কি করবে?
ছাড়বে নাকি দেশকে!
এই বিপদে সাহস জোগাল
সবার কানে বার্তা দিল, বীর বাঙ্গালীর
জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু মহান নেতা।

২৫ মার্চ গভীর রাতে,
পাকিস্তানি শাসকরা সব করল হানা দেশে ।
লক্ষ লক্ষ মানুষ, মারল সেই রাতে।
বঙ্গবন্ধু মহান নেতা, আমাদের জাতির পিতা
করতে গেল উপকার, হল তার অপকার,
এবার কি করে, বাঁচবে এই দেশ?
তৈরি করল নীল-নকশা, যুদ্ধ করে বাঁচাতে হবে দেশকে।
তাকে ধরে নিয়ে চলে গেল, জেল-হাজতে।
বেতারে করে পৌঁছে দিল বার্তা,
ঘোষণা করল স্বাধীনতা।

বেতারের দ্বারা খবর গেল,
বীর বাঙালির কানে, বন্ধুক নিল হাতে,
কে নামবে কার আগে যুদ্ধ করতে-দেশের তরে।
তখন তারা ছড়িয়ে পড়ল দেশে,
সেক্টরে সেক্টরে বিভক্ত হয়ে।

তারা হয়ে উঠল মুক্তিযোদ্ধা।
শহিদ, গাজী হল তারা দেশের তরে জীবন দিয়ে।
মুক্ত এদেশ করেছে তারা , ৩০ লক্ষ শহিদ যারা।
এক সাগর রক্ত দিয়ে-দেশকে নিয়ে আসল তারা।
দেশ হল স্বাধীন এবার আহা বেশ বেশ,
সুখ শান্তির নাই শেষ।

তারপরেই সৃষ্টি হল স্বাধীন বাংলাদেশ।
মাতৃভাষার দেশ, সুন্দরেতে পূর্ণ দেশ।

মুজিবের ছিল প্রিয় দেশ, এই দেশ বাংলাদেশ ।
যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত দেশ, নতুন করে সাজিয়ে তুলল বেশ।
সবাই খুশি, সবাই সুখী স্বাধীন দেশের মানুষ নির্বিশেষ।
হঠাৎ, উনিশ শতকের পঁচাত্তর,
দেশের অবস্থা - খারাপ খুব,
ধারন করল কালো রূপ।
খুন হল যে জাতির পিতা,
বিশ্ব হারাল মহান নেতা।
সেই খুনের-ই শোকে মানুষ, হলো আত্নহারা।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,
তিনিই আমাদের জাতির পিতা।
দেশের জন্যে করতে গিয়ে, হারাল তার জীবনটা।

দেশকে করল মুক্ত স্বাধীন-সুন্দর বেশ।
বঙ্গবন্ধুর ফলেই সৃষ্টি, নতুন বাংলাদেশ।
দেশের নাম বদলে গিয়ে, নাম হয়েছে –
প্রজাতন্ত্রের দেশ, এই দেশ
“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ”।


এই দেশকে নিয়ে মুজিবের স্ব্প্ন ছিল বেশ,
সেই স্ব্প্নময় রূপ পাবে কি এই দেশ!