দিনের পর দিন,
রাতের পর রাত,
মাসের পর মাস গড়িয়ে-
আসে পহেলা বৈশাখ।


চৈত্র অবসানে বর্ষ হল শেষ,
পদার্পণ করল নতুন বছর-
অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে।


ঘরে ঘরে বাঙালির বর্ষ-বরণের
উসৎব আয়োজন। দিকে দিকে
মানুষের আনন্দ বিনোদন।


আজ বাঙালি, ভুলক্রমে যদি পান্তা-ইলিশ খায়,
বাঙ্গালির ঐতিহ্য ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হবে, হায়!


আলোক-প্লাবনে পৃথিবী উদ্ভাসিত হয়।
পাখি গান গায়, গাছে গাছে শিহরণ জাগায়,
বাঙালি তরুণের কণ্ঠ ছায়ানটে শোনা যায়।


লাল পেরে সাদা শাড়ি, হাতে কাঁচের চুরি।
খোপায় ফুল, গলায় ফুলের মালা।
কপলেতে টিপ পরে, নববর্ষকে স্বাগত-জানাতে
সেজে আসে তরুণীরা।
তরুণরা সব পাঞ্জাবি আর পাজামা,
কেউ বা ধুতি পরে লাগছে বেশ ভাল
ঘুরতে যাচ্ছে গানের তালে তালে।


আজ বাঙালি নারী-পুরুষে
সকলে মিলে আড্ডা দিবে,
রমনার অশুথ মূলে।
যাবে রাজকুমার আর পরী সেজে,
শিশু প্রাণ মেলায় ঘুরতে।


সুরের মোহনায় ভেসে চলে যাই,
বাউল, ভাটিয়ালি আর জারির গান গাই।
মনে-প্রাণে, চলনে-বলনে, চিন্তা-চেতনায়
জাগ্রত হয়ে। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, সবকিছু ভুলে
সবাই এসো মিলি, প্রাণের উৎসবে-
বাঙ্গালির গর্ব বাংলা নববর্ষে।


বৃহস্পতিবার
১৩ই এপ্রিল ২০১৭