শুনেছি পাশের বাড়ির করিম চাচা
সংসার পুষিতে যার ভীষণ বিতৃষ্ণা,
সংসারের যাতাকলে নাকি
পিষ্ট আজ তার অন্তর।
ফাঁক পেলেই নাকি ঝাঁপ দিতেন
গঙ্গার জলে।
চুপিসারে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলুম,
কিরে চাচা-এখনও যে বেঁচে আছেন?
গঙ্গার জলে প্রাণ বলির ফাঁক পাননি বুঝি?
চাচা শুধালেন-আরে বাছা!
এখনও যে ভেসে আছি আশার ভেলায়
এই বুঝি সব যন্ত্রণা চুকে যাবে।
এমনই স্মৃতিও আমায় বলেছিল-
বুঝলি বন্ধু, প্রেমে যে এতো জ্বালা!
এতো কষ্ট আর হতাশার গ্লানি!
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় সব ছেড়ে
চলে যাই অন্তহীন গন্তব্যে।
প্রশ্ন করেছি-তবে কেন যাসনা?
আশা! কেবল আশার ভেলায় ভেসে আছি,
এই বুঝি সুখের ঢেউ ছুঁয়ে যাবে।
সে পাড়ার চাকুরিজীবী তালিব ভাইও
সেদিন নিঃশ্বাস ছেড়ে বলেছিল-
আর ভালোলাগেনা কেরানীগিরি।
বলেছিলুম-তবে কেন করছেন?
ঐ যে আশায় বাঁধি ঘর,
যদি কখনও প্রমোশন হয়!
৬ই শ্রাবণ, ১৪০৭।
(একটু ভিন্ন ধাঁচের কবিতা। জানিনা বন্ধুদের কেমন লাগবে।)