এইতো বর্ষা সরাগম গ্রামীণ পথে-ঘাটে
খাল-বিল-নালা-পুকুর পাড় ডুবে একাকার।


বিস্তীর্ণ সমুদ্রে অসহায় বসতিগুলো যেন এক একটি দ্বীপ।


স্বর্ণালী ধানকেশ ও ফসলিক্ষেত ঢেউয়ে ঢেউয়ে লুকোচুরি খেলছে।


শ্যাওলা দিঘীতে পল্লীকুমারীদের স্নানজল মিশে গেছে বর্ষাচ্ছ্বাসে।


থম থমে তুফানঝড়ে ইউকিলাপ্টাস ও মেহগনিগুলো জিজ্ঞাসু মনে নির্বাক?.


পল্লীজননী উঠানে পুদিনে পাতা দু পায়ে চুলা
নাগাদ বর্ষায় নুয়ে পড়ার উপক্রম।


নায়,ভেলা অচল মূহুর্তে পরম গ্রামীণ বন্ধু।


বর্ষাচ্ছ্বাসে আবদ্ধ মাছেরা স্বাধীন।
এইতো বর্ষা সরাগম নেমে আনল যেন মাচ্ছোৎসব।
আহা! লাঙ্গল-মুগুর ছেড়ে কৃষক বনিল আইজ জেলে
ঢুকরি-জাল তার সোনার হাতে।


খৈভাজা,সিমভাজা,পেলুভাজা খাওয়া ও লুডু খেলা
গ্রামীণবধুর যেন বর্ষাবিনোদন।


এইতো গ্রামীণবর্ষা সব সরাগম নিবিয়ে দেয়
পর্সা আকাশে চকচকে সাদা-নীল-বেগুনি রংধনু।