দেখ নাতি! পূর্ণদ্যমে নদীর স্রোত
একেলে বেকেলে যমের ঢেউ।
কুচকুচানি পঁচা পানি ও নর্দমা।
বিশাল এক বুক পাড়ি
এখান থেকে ওখানে।
গায়ের এই ঝুমুর ঘাটে- নৌ বায়তাম যৌবনে।


ভোরবেলায় সূর্য ওঠার আগে
পই লয়ে হাজির হইতাম -ঝুমুর ঘাটে।
রাখাল- কৃষক-বধু
আবাল-শত্রু-মিত্রু- পার করতাম সারাদিন।
যাত্রী পাইতাম বেশী -হাটকুলার দিন।
কেউ পয়সা দিত-কেউ পয়সা দিত না।
মনের মানুষ করত-পয়সা না দেয়ার বায়না।
এইভাবে বেলা ফুরিয়ে আসত-অাধাঁর অাসত ঘনিয়ে
বাড়ি এসে শুয়ে পড়তাম-ঘুম আসত ঝিমিয়ে।
একদা একদিন আমার হইল ভীষণ জ্বর
সেই দিন ঘাটে যাইতে পারিনি-সারাদিনভর।
শত শত যাত্রী ঘাটে-মাঝির অপেক্ষায়
আসে না মাঝি -আসে না মাঝি- বেলা চলে যায়।
***********************************************


দেখ নাতি! আজ এই ঝুমুর ঘাটে- কোন নৌ নেই
কোন যাত্রী নেই
কোন মাঝি নেই।
ভূলিয়ে দিয়েছে গাঁয়ের মানুষে- সেই  সোনালি কেতু।
গড়ে ওঠা ঝুমুর ঘাটে-এই মস্ত বড় ইট কংক্রিটের সেতু।