তিপ্পান্ন বছর পূর্বে কালো আঁধারে ঢাকা বিবর থেকে
প্রস্থান করে একবার উঁকি মেরেছিল রক্তিমা তপন, প্রভাতের শরীরে মেখে দিয়েছিলো একফালি কাঁচা রোদ! ঝলমল রূপে উজ্জীবিত হয়েছিল সবুজের বুক।


বিহগের কলতানে মুখরিত হয়েছিল সমগ্র উপবন! নিমিষেই সেজে উঠেছিল পাড়াগাঁ ও বিস্তীর্ণ জনপদ, রাখালের মোহন বাঁশিতে মেতেছিলো মরা নদীরচর।
জোয়ার এসেছিল সোনা'ফলা কৃষাণের লাঙ্গলে ঈশে।


হাসি ফুটেছিল গ্রাম বাংলার শ্রমিক,জেলে,কামার ও মেহনতি সাত কোটি জনতার বিষন্ন বদনে!
অদম্য উচ্ছাসে যুবতীর বুকে স্বপ্নের রঙে রঞ্জিত
প্রেম উঠেছিল জেগে।


অতঃপর ধোঁয়াটে তিমিরের থাবায় তলিয়ে গেছে সেই নবদিগন্তের রক্তিমা তপন! সাত কোটি কম্বলের নিচে হারিয়ে গেছে সেই সোনামাখা রোদ, হারিয়েছে সেই কৃষাণের লাঙ্গলের ঈশ, সেই বিস্তীর্ণ জনপদ, আর রাখালিয়ার মোহন সুর ও অস্তপারের সন্ধ্যা।


বীভৎস মৌনমিছিল সঞ্চয় হতে হতে এখন মহা সমাবেশে! অবজ্ঞারস্রোতের ঢেউয়ে ঢেউয়ে হয়েছে আজ মহাসমুদ্র। প্রতিদিনই তীব্র যন্ত্রণার শিশির থেকে সৃষ্টি হয় জলোচ্ছ্বাস।


শ্রাবণের বৃষ্টির মতো অশ্রুজলে নির্মাণ হয় বেদনার রাজ-প্রাসাদ। বিষাদগ্রস্ত হৃদয়ের ভার বয়ে আজ প্রায় ভারসাম্য, আজ বিষাদের কালিতে লেখা হচ্ছে শেষ অধ্যায়ের পাণ্ডুলিপি।