প্রতিটি ঘাতকের দজ্জাল আকস্মিক দূষর তাণ্ডবতায় আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিলো ভ্রষ্টে,
ইতিহাসের এক বিকৃত ধিকৃত নিকৃষ্ট ক্ষণে উনিশশো পঁচাত্তর সালের পনের-ই আগস্টে।


হে বঙ্গবন্ধু তোমার রক্তে রাঙানো আমার এই দেশ-
আমার এই পতাকা- এই দিগন্ত, এই অবকাশ,
তুমি দিয়েছিলে স্বাধীন বাংলার ভূমিতে রক্তক্ষয়ী
মুক্তিযুদ্ধের এক কালজয়ী ইতিহাস।


আজ তুমি নেই! তবুও  মুক্তির কথা কও কানে কানে
তোমায় দেখতে পাই হে বীর দর্পে বিজয় কেতনে,
বিপ্লবী রক্ত প্লাবনে পিতাহারা সন্তানের পতন-উত্থানে
বজ্রকন্ঠে তুমুল জয় বাংলার স্লোগানে।


তুমি বাংলার মহা নায়ক- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
রয়েছো তুমি এখনো বাংলার লাল সবুজে দৃশ্যমান,
এই মাটিতে যে ঘাতক ছুড়েছে তোমার বুকে বুলেট
নেই -নেই-নেই এই মাটিতে তাদের কোনো স্থান।


তুমি মিশে আছো আবহমান বাংলার শিরা-উপশিরায় মিশে আছো তুমি সেই পদ্মা, তিস্তা, মেঘনা-যমুনায়,
হে মহা মানব মিশে আছো তুমি অজস্র শিল্পীর কন্ঠে
কখনো বা রংতুলি তে আঁকা শিল্পীর শিল্পকলায়।


মহা কাব্যের মহাকবি হে জাতীর পিতা- সাতেই মার্চে
রেসকোর্স ময়দানে আবৃত্তি হলো অমর এক কবিতা,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম-এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম-তুমি এই কাব্যের রচয়িতা।


তোমার স্বপ্নে গড়া সোনার বাংলায় ঠাঁই নেই স্বাধীনতা বিরোধীর, নিপাত হবে খুনী আলবদর রাজাকার,
ঠাঁই নেই-নেই ঠাঁই নব্য সুবিধাবাদী ও দূষর পেটুয়ার-
জয় হোক -জয় বাংলা, হে জাতির পিতা তোমার।


তুমি অমর-আমরণে বেঁচে আছো ষোল কোটি মানুষের আস্থা হৃদয়ের মন মুনিয়ার আত্মজ কৃষ্টে,
আজীবন বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি শহীদ মিনারে তাজা পুস্পিত ফুলের সুরভিত মৌ মৌ আঁশটে।