কথা ছিলো আজ উত্তপ্ত রাজপথে দাঁড়াতে হবে না আর
লিখতে হবে না রক্ত দ্বারা দেয়াল লিখন,
মুছে যাবে অসহায়ত্বের হাহাকার, ছুঁতে হবে না অন্ধকার
উচ্চ ধ্বনি স্লোগানেই হবে অধিকার আদায়ের মুদ্রণ।


কথা ছিলো আজ, শান্তির বার্তা বলে যাবে ত্রিশ লক্ষ বীরাঙ্গনার রক্ত নদীর আত্মকথা,
কিন্তু মুখ গজালো অবিশ্বাসের শিকড় সমেতে আজ
খুন, হত্যা, রাহাজানি শিকলে বন্দি মানবতা।


চেয়ে দেখো রফিক, জব্বার, শফিক, অরক্ষিত আজ তোমাদের দেওয়া রক্তাক্ত বিজয় নিশান,
ফিরিয়ে নিলো উন্মুক্ত আকাশ, কলঙ্কিত মানচিত্র, জাতি আজ মহাসংকটে বিপন্নতায় প্রাণ।


দেখি পিতা হারানো সন্তানের চোখে কূল ভাঙা নদী
বিধবা ধুসর পোশাকে চূর্ণবিচূর্ণ জিবনের করুণ হাল,
ভ্রষ্ট দাঁতাল চোয়ালের কবলে বন্দী আমার কন্ঠ,
স্বাধীনতা তুমি বলো মাথা পেতে নেব আর কতকাল।


নুসরাত, আবরার, তনন এর মতো উদীয়মান লেখক এর মুছে নিবে আর কতো বর্ণমালার আঁকিবুঁকি,
কে নিবে এর দ্বায়ভার? চেয়ে দেখো বরকত, সালাম
তোমাদের আত্মাদানের বাংলা আজ নেই বেশি সুখী।


যে ভূমি পাওয়ার জন্য রেখেছিলে অকাতরে রক্ত বাজী
কিন্তু দখলে আজ অপ-রাজনীতির গুরুদক্ষিণা,
লাজে লজ্জিত আজ স্বাধীনতার মানচিত্র, ভারী হয়ে উঠলো দুষ্ক্রিয় দল-দাসীর দুঃশাসন- ক্ষোভ ঘৃণা।


বলো বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর, আর কতো ভাঙবো অপেক্ষার সিঁড়ি.? আর কতো নেবে রক্ত- কে নিবে এর দ্বায়ভার?
হে মতিউর গনতন্ত্রের অধিকার আদায়ের লক্ষে গর্জে উঠো তোমরা এই বাংলায় আরেকবার।


খুলে দাও সাহসের বোতাম, খসে পড়ুক দ্বন্দ্ব ভাগাভাগির দেয়াল, তোষামোদ, ছিঁড়ে ফেলো মুখোশ,
সত্যের দিয়াশলাই'তে জ্বলুক পাপাচারের বারুদ
পুড়ে যাক হিংসা-বিদ্বেষ, পুড়ে যাক আক্রোশ।


এসো ফিরে তারামন, তুলে নাও হাতিয়ার,পঙতিতে বাজুক দামামা, ভাঙিয়ে দাও জ্ঞানপাপীদের অবসান,
ভণ্ডামির উত্তাপে পুড়ে পাঠাগার, ছাত্রাবাসে চলছে লাশের মিছিল,অস্ত্রাগার থেকে আসুক মুক্তির আহবান।