কাঁদিছো কেন নিরবে বসিয়া আঁখির ফেলিয়া জল!
কাহারা করিছে লুটিয়া নিঃস্ব  কোন অসুরের দল?
উচ্ছল তব হাসি আনন্দের কে হানিলো অনিবার!
তব,কাহারা আনিলো দুঃখপীড়ন ঘৃণার অন্ধকার?

দলিত যাহাদের  অত্যাচারের তোমারি বক্ষ মাঝ,
নাহি পারনি মুখগহ্বরে কহি, লালন করিয়া লাজ।
যাহারে করিয়া   স্নেহ-বন্ধন,  রক্ষণেই যে সন্তান,
তাহারাই মা  নরপশু আজ, নারী লোভী শয়তান।


যাহারা ছুড়িল আজিকে মাগো নিদয়-নিঠুর ঢেলা,
নরোদম তাহারা  বিশ্বে ঘৃণ্য  কামকেতু রাসমেলা।
আঘাত হানিয়া বুকে নিদারুণ করিয়াছে খানখান,
কতক উল্লাসে  ঘুরিয়া বেড়ায়, জননীর অপমান।


উহাদের আজি ধমনি শিরায়  রুধির শ্বাপদ নাচে,
হিংস্র পশু'রা মানিয়াছে হার  নরপিশাচের কাছে।
দনুর পুত্রের   কামুক চাহনি  কাম খেয়ালীর ছল,
কতো হবে আর   আত্মাহুতি   এমন করিয়া বল্!


দুঃসহ দাহবোধ সহিছ মাগো পারনি কহিতে হায়,
পৌরাণিক হতে  নরের গ্রাসে  মাগো রে অসহায়।
মস্তক তুলে মুছে নাও চক্ষু কিসে মা এত সংশয়?
এ ব্রীড়া আজি অভগ্ন জাতির  কি করে তব হয়?


গর্জিয়া ওঠো মা নাহি নতশির  কিসের অপমান?
বিহিত নাহি চালিয়ে বেড়াও  চরিত্রের অভিযান।
প্রাচীনকালের গৌরী মমতার  যত আবরণ খুলে,
যে'বদনে পান পয়োধর তব বিষদাও সেথা তুলে।


নিজেরে মাগো করিয়া রেহাই নাহি থেক মা বসি,
রক্ষিয়া তব বাঁচিবার তরে তুলে নাও হাতে অসি।
পিচাশ নাশিনীর ধরন ধরিয়া পাঁজি দিও মা বলি,
খড়গ ধারণ করিয়া মাগো  দু'পায়ে পিষাও দলি।