বেগুনের দাম শুনিতে বলে আশি টাকা দর কেজি,
দুহাত ধরিয়াও দু'টাকা কমে নহে দিতে বেটা রাজি।
লঙ্কা পেঁয়াজ  কদু কুমড়ার দাম টি আরও বেশি,
পারিলাম না কিনিতে সদাই গিয়াছে ঘামাইয়া পেশি।


ফাঁকা থলেটি ফের লুটাইয়া এগিয়া নিলেম হাতে,
থাক বাপু থাক নিচ্ছি নারে বাজার ভাঙ্গুক রাতে।
সারাটি বাজার দেখিয়া ঘুরে বেগুনে পোকার কাটা,
নাহি মেলেনি কপালে কিছু গিয়াছে কপাল ফাটা।


পিছনের থেকে মুদির দোকানি ডাকিল মোরে ফের,
কি নিবেন? আসুন- লঙ্কা রসুন তিনশো টাকা সের।
আরেক দোকানি ডাকিয়া কহে লাগিবে নাকি ডাউল?
আমার কাছে দামে কম তেল সত্তর টাকায় চাউল।


গিয়াছি চলে মাছের দোকানে জিজ্ঞাসী কতো মাছ?
চিল্লাইয়া কয়  ছয়শো এইটা ঐটা  রাখবো পাঁচ।
দাম শুনিয়া  দম গেলো মোর দুঃখ কাহারে বলি,
পাশ কাটিয়া  হাঁটিতে থাকি রহিলো শূন্যে  থলি।


হাঁটিতে ওদিক ঘুরিয়া ফিরি হাঁকিয়া হাঁকিয়া দেখি,
গলি ছাড়িয়া  উঠেছি গিয়া বিষের দোকানে ঠেকি।
কহিল উঠে দোকানি মোরে আহারে আমার বাবু!
কি বিষ দিব  কতটুকু জমি কি পোকা করিল কাবু?


ক্ষেত নাই মোর ঢুকাব পেটে এক বোতল বিষ আনো,
ক্ষুধা মেটাতে লাগিবে কি বিষ নিশ্চয়ই তাহা জানো।
রোজ প্রতিদিন খেতে হবেনা একবারে খাবো গিলে,
ভাতের বদলে দিবো বিষ ঢেলে মরিবো সবাই মিলে।