নব  বিপ্লবীর  তারুণ্য  ভাস্বর  চল রে নবীন দল,
কে দিয়াছে পায়  এক লহমায়  নিগড়ের শৃঙ্খল?
নীতির মস্তকে রেখেছিস কেন  অমঙ্গলের ভীতি!
নিল কাঁহারা নীতিকথা তোর যতো সংযম প্রীতি?


ওরে দুরন্ত তরুণ রে তোর বাঁধিল কাহারা ডানা!
বলরে-হে তোর প্রাণ তনুতে দিয়াছে কেবা হানা?
বিকলাঙ্গ,   রুগ্ন-খোঁড়া,  বয়োজ্যেষ্ঠ-দের ভীড়ে,
গেল রে বুঝি যুবাকাল-তেজ বাঁধা রহিলি নীড়ে।


প্রতিমা তুল্য জড়বৎ যাহার ধরিয়াছে ঘুণ হাড়ে,
নির্বল প্রাণ হিমানীর তলে রহে চাপা তার ঘাড়ে।
তৃণ না জ্বেলে অগ্নি পোহাস বল্ কোন নির্বোধে?
বীজ'বপনে নাহি দিলে প্রাণ লাভ কি ঐ উদ্ভিদে?


অস্ত্র রাখিয়া অস্ত্রশালায় -যে যুবা কেলিয়া হাসে,
পর্বত-সম আসিয়া রে ঢেউ-তার বুকে সে ভাসে।
তটিনী টুটে   মহা'বেগবতী  জলাধিপতির পানে,
নাহি দেখিবে অথৈ স্রোতে কাহারে মারিল প্রাণে।


জলাধিপতির উথাল ঢেউয়ের তিব্র প্রবল বেগে,
যে বণিকের ডুবিল জাহাজ,তাহা কি কভু দেখে?
ঘুর্ণিবাত্যা  কাড়িয়াছে প্রাণ  ফুঁসিয়া সাগর জল,
পুড়ে লয়, কভু মানে না তরুণ- অগ্নির দাবানল।


বাঁধন যে তোর করিয়া ছিন্ন চলরে পাহাড় ভাঙি,
কপটনিদ্রা- যতো সংযম-  বিদ্রুপের বাণ রাঙি।
সানন্দে হেঁসে মানবের তরে, করে যে আত্মদান,
কষেনা কিছু বেহিসাব ওরা প্রাণদেয়,ছিনে প্রাণ।


তরুণই আনে বিজয়োল্লাস করিয়া অবনী সাড়া,
গুরুভারদের হর্ম্য ধরিয়া, দেয় ভীম-বেগে নাড়া।
দমের তাড়নায় করে দে যুবা সেকেলের জঞ্জাল,
প্রবল স্রোতে যাক বানে যাক- অশুভের কঙ্কাল।


জারিত পুঁথির শীর্ণ পাতা- কালকীটের সংস্কার,
যৌবন-বহ্নিতে জ্বালিয়া পুড়ে  করে দে অঙ্গার।
দুর্বার স্রোতে- টুটিয়া রে তোর  ঝঞ্ঝার উচ্ছ্বাসে,
সম্মুখে যাহা পাবি-রে তরুণ  পিষে চল উল্লাসে।


অজ্ঞানীদের নাশুনিস বাণী যতদিক ওরা গালি,
আসিবে স্বয়ং পড়িবে তনু ঊর্ধ্ব ছিটানো কালি।
ওরা ভণ্ড, ভীরু, নরপাষণ্ড,পঁচে মরে ওরা ধুঁকে,
এনে দে প্রাণ ছিনিয়া তরুণ জীর্ণ জাতির বুকে।


যাহারা আজি অনৈতি বৃদ্ধ নহে সে তরুণ নহে,
বিপ্লবীঝাণ্ডা যারবক্ষে বহে তাহারে তরুণ কহে।
নির্ভীক যারা বিপ্লব উহারা  অক্ষয়ে তারা উড়ে,
দুরন্ত  দুর্বার,  দুর্দম   উহারা   দুর্গম  গিরি মুড়ে।