আজ আকাশে জোছনা নেই! নিকষিত কালো মেঘেরা গিলন করেছে চাঁদ- ব্যাকুলতার অসুখ সারতে বেরিয়েছি অমাবস্যার বুকে- রোজ সাঁতার কাটছি, তবুও তোমার রেখে যাওয়া অসুখ সারছে না।


গভীর রজনী! দূর থেকে ভেসে আসে বিষণ্ণ ভায়োলিনের সুর, তখনই বেজে ওঠে মনখারাপে আর্তনাদ— তন্দ্রাঘোরে জন্ম নেয় অসংখ্য স্বপ্ন– তন্দ্রা ভেঙে দেখি গাদা-গাদা রিক্ততা জেগে আছে বিছানার ওপাশ!


খুব নিরানন্দ কাটে আমার সায়ংসন্ধ্যা-
মনস্তাপে কাটে আগত-অনাগত প্রত্যেকটি মুহূর্ত,
কিছুই ভালো লাগে না! কখনোসখনো
বড়সড় দুশ্চিন্তায় হানা দেয় আমার ভাবজগতে–
ইচ্ছে হয় ঘরকন্না ছুঁড়ে ফেলে বনকূজনে হারিয়ে যাই, ভাবি হাপিত্যেশ লাগা জীবনে ভোর আসবে হয়তো!


ক্লান্ত দুপুরেই চলে কতশত দুশ্চিন্তা! একটি বিশাল পর্বতের কোল ঘেষে আমার ছোট্ট কুঁড়েঘর! এখানেই  আমার আয়ুকাল নির্দিষ্ট পরিসরে— সুনসান কুঁড়ের পাশ ঘেঁসে বয়ে যায় এলাহী একটি ফোয়ারা!
ফোয়ারার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে তৈরি হয় মমতা,


যখন আমার ছোট্ট কুঁড়ে নেমে আসে রজনীর ঘোর অমানিশা–অকপটে ঢেকে যায় সবুজের সমারোহ।
এখানে রজনীতে পড়ে থাকে তুমুল বিষণ্ণ, সারা গিরিময় বিরাজ করে সুনসান নিরবতা।