অজু কর নামাজ পড়
আল্লাহ্‌-তে দাও মন
পাঁচ ফরজে রাসুল চেনো
সব`চে যে আপন।



আল্লাহ্‌ এক ও অদ্বিতীয়
শরিক কেহ নাই
কোরআন দিলেন জীবন বিধান
মেনে চলো তাই।



ইকরা বিসমি রাব্বি মানে
পড় তোমার প্রভুর নামে
শিক্ষা তোমার দীক্ষা হবে
বেহেস্ত চেনো সহজ দামে।



ঈদুল আযহা ঈদুল ফিতর
ঈদ মানেতো খুশির দিন
পয়-পরিষ্কার পরবে জামা
হুকুম মত শোধবে ঋণ।



উত্তরমুখী সিথানে ঘুম
উত্তম বলে জানবে
সূর্য উঠার আগেই উঠা
সর্বোত্তম মানবে।



ঊষার রবি গায়ে মেখে
দেহের যতন করবে
নিত্যদিনের রুটিন কাজ
সতেজ মনে ধরবে।



একা আসা একা যাওয়া
মধ্যে জীবন নদী
পাড়ের কড়ি সংগে নিলে
সুখ যে নিরবধি।



ঐক্যতে সুখ জেনে রেখো
অনৈক্যে হয় দুঃখ
সৎ পথে সজীব জীবন


অসৎ এ হয় রুক্ষ।



ওজন বুঝে বলবে কথা
বেশী কথা বলবেনা
কথায় কষ্ট পায় যদি কেউ
ক্ষমা চাইতে ভুলবেনা।



ঔরসে যার জন্ম তোমার
তার সম্মান রেখো
মায়ের মতো আপনজনা
নাই দুনিয়ায় দেখো।



কলমের`চে শক্তিশালী
কেউ হতে পারবেনা
ঘটে যদি বিদ্যা থাকে
দেখো তুমি হারবেনা।



খোলাফায়ে রাশেদীন
এক জামানা ছিলো
সৎশাসনের উদাহরণ
তারাই জনম দিলো।



গুনাহ মাফে পানাহ চাও
রাহে আল্লাহ্‌র
রহমান ও রহিম যিনি
দয়ারও ভান্ডার।



ঘুরে দেখো যদি পারো
সারা জগতময়
সৃষ্টি স্রস্টা বুঝবে তখন
অলৌকিক বিস্ময়।



ব্যাঙের মতন লাফিয়ে চলা
বুদ্ধিমানের কাজ নয়
দেহের যতন না করলে মন
অসময়েই বৃদ্ধ হয়।



চোখের দেখা যা দেখছো
সবতো সত্যি নয়
অনুভবেও অনেক কিছুর
পাই যে পরিচয়।



ছয়টা রিপু দেয় মন্ত্রণা
ভালো কিবা মন্দ
বিবেক যদি শানিত হয়
কাটবে দ্বিধা দ্বন্দ্ব।



জলভাগ বেশী জেনো
ভূপৃষ্ঠে রয়েছে
মানবদেহ একই গঠন
বএকইিজ্ঞানও তাই মেনেছে।



ঝাঁকে ঝাঁকে পথের বাঁকে
সুখ দুঃখের সহবাস
কর্মগুণে ভাগ হয়ে যায়
কার সাথে কার বসবাস।



মিঞা ভাই রাগের মাথায়
করেন শুধু ভুল
সেই কারনে হেরে গিয়ে
ছিঁড়েন মাথার চুল।



টাপুরটুপুর বৃষ্টি পড়ে
ঋতু বর্ষার গান
সবুজ শ্যামল হয় বাংলা
অধিকে হয় বান।



ঠোঁটের ভাঁজে শব্দ সাজে
তেঁতো মিষ্টি টক
ব্যবহারে হও সাবধান
করোনা বকবক।



ডাক দিয়ে যাও সত্য পথে
যে বুঝার সে বুঝবে
আলোর পথে আসবে না হয়
আঁধারে পথ খুঁজবে।



ঢাক গুড়গুড় মেঘের বাড়ি
বৃষ্টি তেমন ঝরেনা
মিথ্যের ঢোল যতই বাজুক
শান্তিতে তাল ধরেনা।



কৃপণ লোকের ধন সাজেনা
আপন গৃহের কাজে
অপব্যয় যার পাল্লা ভারী
সেওতো পড়বে লাজে।



তরল যেমন পাত্র ভেদে
নানান আকার হয়
সত্য তেমন মনের ভেদে
জয় নয়তো ক্ষয়।



থান কাপড়ে সেলাই ছাড়া
কাফন যখন পড়বে
কেউ হবেনা সংগী তোমার
পাপ পুণ্যরা লড়বে।



দয়া একটি মহৎ গুন
জীবে দয়া কর
ন্যায়নিষ্ঠা ধর্মে কর্মে
নিজের জীবন গড়।



ধন ও শিক্ষা ন্যায়ের পথে
দান করলে কমেনা
তোষামোদি মনের ব্যাধি
বন্ধু রাখা যাবেনা।



ন্যায়দণ্ড যার হাতে রয়
তার বন্ধু থাকতে নেই
নিরাকার যা শ্রদ্ধাস্পদ
তাঁর ছবি আঁকতে নেই।



পথের মাঝে পথিক হয়ে
পথের দিশা ভুলোনা
গীবত করা পাপের ধারা
ঈর্ষাতে তা খুলোনা।



ফিতনা ফ্যাসাদ গর্হিত কাজ
জাহান্নামের ঠিকানা
শিরক করা তার`চে খারাপ
ভন্ড পীরের আস্তানা।



বন্ধ করে মনের দুয়ার
আশিক হতে পারবেনা
দ্বীনের পথে মাশুক হলে
দিলের ময়লা ঘাটবেনা।



ভবের হাটে সব মুসাফির
যেতে একদিন হবে
মাটির দেহ মাটির সাথেই
বিলীন হয়ে যাবে।



মাখলুকাতের শ্রেষ্ঠ মানুষ
মনুষত্ব থাকা চাই
ক্বলবে কলিমা ধারন কর
তাছাড়া মুক্তি নাই।



যাকাত দেয়া ফরজ জেনো
গরীবের হক মেরোনা
সম্পদ শুদ্ধি নাও করে নাও
পাপের ভাগী হয়োনা।



রাত গভীরে আল্লাহ্‌ ডাকেন
বান্দা আছিস কে কোথায়
চেয়ে নে তুই যা মনে চায়
আছি তোদের অপেক্ষায়।

লাজ লজ্জা মনের পর্দা
যতন করো তারে
জামানার দোষ না দিওনা
ঢুকবে অন্ধকারে।



শৃংখলে মন যায়না বাঁধা
প্রয়াস করা পন্ডশ্রম
তবুও যারা করবে চেষ্টা
হয়েছে তাদের মতিভ্রম।



ষড় ঋতুর দেশ যে আমার
রংবাহারি থাকছেনা
বিজ্ঞান আর আধুনিকায়ন
পরিবেশবাদী হচ্ছেনা।



সীমা জেনে হও আগুয়ান
সমান হওয়া মুখ্য নয়
যে যার মত শ্রেষ্ঠ নিজেই
কর্মতে হোক পরিচয়।



হয়তো নয়তো কিংবা যদি
দুর্বল করে ব্যাবহার
দৃঢ়চেতা চাও যদি হতে
এ শব্দ কর পরিহার।



বাড়ি গাড়ি শাড়ি কড়ি
সুখের মাপ কাঠি না
আসা যাওয়ার মধ্য সময়
মায়ের শীতল পাটি না।



আষাঢ় শ্রাবণ বৃষ্টি প্রবণ
ঘর হতে বেড় হওয়া দায়
ভুনাখিচুড়ি রাঁধলে পরে
চুপ কি বসে থাকা যায়।


ক্ষ
ক্ষণ গণনা জন্ম যেদিন
সেদিন থেকেই শুরু
মৃত্যু এলে থামবে সময়
শিষ্য হও বা গুরু।



ছায়ার সাথে যুদ্ধ করা
বোকাদেরই সাজে
মোহ বশে করলে কাজ
পড়তে হবে লাজে।



সৎ সাহসী হতেই পারো
আধিক্যে হয়রানী
সমঝে চলা নয় পরাজয়
খোদার মেহেরবানি।



সংলাপে হয় সমাধান সব
থাকলে মনে বাসনা
ছলচাতুরী ক্ষণিকের লাভ
অন্তে বাড়ায় যাতনা।



দুঃখ ছড়া সুখ থাকেনা
আঁধার ছড়া আলো
গুন যদি হয় রূপের ডালা
সেইতো সাদা কালো।



চাঁদের হাসি কেউ দেখেনা
প্রেমিক ছাড়া
জোস্নায় আর কেউ ভিজেনা
কবি ছাড়া।