শ্রাবনটি যাচ্ছে ছাড়িয়ে,
একা একা নীরবে।
শরৎও আসছে ,
হালকা হালকা মৃদু হাসিতে ।
'শরৎ আসছে বলে
যাচ্ছে হারিয়ে মন,
নদীর ওপার থেকে
হাত দিয়ে ডাকছে কাশবন।'
শরতে তোমাকে,
জোৎস্নাভরা রাত আর কুসুম ভালোবাসা দেব।
শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে,
একলা যদি আস।
-
_
'শেফালী,মালতি,শিউলি
সুগন্ধভরা জুঁই।
চারিদিকে খুসবু ছড়িয়ে দিচ্ছে,
জানিষ তো তুই।'
শরতের স্রোত নদী দাড়িয়ে বলে,
পাল তোল তার বুকে।
তোমার রুপমাখা ওড়না উড়িয়ে চলনা তাই,
নৌকায় করে শরতের দেশটি ঘুড়ে বেড়াই।
চলে যদি যেতে চায়
চলে যাকনা শ্রাবন ভাই,
আনন্দে মন নাচিয়ে তুলছে
শরতের দিনগুলি তাই।
_
তুমি তো দেখেছ,
'শ্রাবন শেষে রানীর বেশে
এলো যে শরৎ এলো,
ধানের খেতেও আবার উঠল মেতে,
বাতাসও এলোমেলো।'
ধানের গাছে সুনন্দর প্রকৃতির ছবি,
এই শরৎটিতে হেসে উঠছে সব বাঙ্গালি কবি।
আমি,তুমি,সে সবাই আবার হাসিতে,
মন ভরিয়ে দিচ্ছে যে শরৎটার ছোঁয়াতে ।