কাঁচা নয় পাকাই ভালো
কে বলেছে ভাই?
চলো তবে পাকা ছাড়া
কাঁচাবাজার যাই!
কচি শশা, কাঁচকলা
গাঁজর, ধনেপাতা,
কুমড়ো, লেবু, কচি লাউ
পাকলে যা-তা!
পুষ্টিকর কাঁচা পেঁপে
কচি ডাবের জল,
শীতে কাঁচা রোদ পোহালে
দেহে বাড়ে বল।
কাঁচা আমের আচার খেতে
নেই কোন শংকা!
মচমচে ইলিশ ভাজায়
চাই কাঁচা লংকা।
গণিত ভালো না বুঝিলে
বলি-অংকে কাঁচা,
কাঁচা হলুদ গায়ে মেখে
সোনা বরণ বাঁচা।
বিপতœীক বুড়ো খোঁজে
কাঁচা বয়সী মেয়ে,
গোরু হবে মোটাতাজা
কচি ঘাস খেয়ে।
চুল পেকে সাদা হলে
মনটা হয় বিষন্ন,
রেশম কালো চুল হলে
জীবনটা যে ধন্য!
পাঠশালায় জমে ওঠে
কচিকাঁচার আসর,
পাখপাখালির কিচিরমিচির
আনন্দেরই বাসর।
শিশুর কোমল কচি হাত
জড়িয়ে মায়ের কোল.
পান্ডা ঠাকুর খেয়ে খুশি
কচিপাঠার ঝোল।
লাউয়ের কচি ডগা খেতে
কার না ভালো লাগে,
শাক ভালো কচিপাতার
খেতে বসলে আগে।
রান্না করে খেতে হয়
কাঁচা ডুমুর ফল,
কাঁচা তালের শাঁস নাকি
হাঁড়ে বাড়ায় বল।
কাঁচা ছোলায় শক্তি বেশি
খায় সকালবেলা,
কাঁচা রসুন খেতে যেন
করনাকো হেলা।
পার্কে বসে বাদাম খাওয়া
তাও কি ভুলা যায়?
ভাজা বাদাম ফেলে এখন
কাঁচা বাদাম খায়!