‘‘জয় বাংলা’’ ধবনি  বাজিছে বাংলার পথ ঘাট!
ওরে ভয় নেই, ওরে ভয় নেই
শেখ মুজিব ডাকিছে তোদের ,খুলিছে বদ্ধ চাপা-কপাট!
আয়রে তোরা শিকল ভাঙ্গিয়া হেরে দে রে শঙ্কাকে
কে ওরা ছুটিছে সমর রণে অলি গলি চারিদিকে?
ওরা বাঙ্গালী,গণতন্ত্র পূজারী, ধর্ম্ নিরপেক্ষতার দিশারী
সমাজ তন্ত্রের অতন্ত্র প্রহরী।
এ চার মূলনীতি- কে না জানিছে বাংলার তটে?
কে না ধরিছে ‘‘জয় বাংলা ’’শ্লোগান’’।
রাজাকার, আলবদর ,আলসামস, পাকহানাদার দোসর.
জাগিনে ওরা, জাগিছে বাকী সব অলি গলি গ্রাম শহর।
হৃদয় শিখরে মোহর ভেদিয়া তুলিছে মুক্তির ডাক
‘‘জয় বাংলা’’ ধবনি  বাজিছে বাংলার পথ ঘাট!
বীর সেনানীর সমর রণ নাচে রে মৃত্যু ঠেলি
স্থপতির উত্তাল ধ্বনি ,‘‘জয় বাংলা’’ বলি ।
জাগিছে বঙ্গ তাজের  শিরা উপশিরা বিরঙ্গনা রমনী
ছুটিছে মেজর জিয়া দোসরতাবু ভেদিয়া বাংলা জননী।
সবুজ প্রান্তর রাঙিয়া উঠিল লক্ষ শহীদের রক্ত গঙ্গা
মুক্তিযোদ্ধা নাচে রে, বাঙ্গালী নাচে রে বাজে রে ডঙ্গা
সমরে বসিয়া হাসিছে প্রাণ মৃত্যুর অনুরাগে!
ডাকিছে মুজিব ছুটিছে দামাল কে কার আগে!
ছিল না দল, ছিল না মত ,শুনিছে মুজিব ডাক
মানিছে তারে জাতির পিতা রাখিনে কোন দাগ।
আজ দেখি যারা অন্য পথে,ছিল তারাও  অনুগত
চার মুলনীতি ,‘‘জয় বাংলা’’ শ্লোগান দিত অবিরত।
মুনাফিক বিশ্বাস ঘাতক মঞ্চে আজ তারা চির-চেনা
ভবিয়াছ,
মীরজাফরের উত্তরসূরী শুধিবে না তোমার পাওনা!
হে স্বাধীনতা তোমার স্থপতিকে করিছে ক্ষত বিক্ষত!
ওরা লোভী,ওরা বিদ্রোহী  মৃত্যু চেয়েছে ক্রমাগত!
তোমায় হেরে স্বাধীনতা চাই না, হে বিজয়ের স্থপতি
এখনো শুনি তোমার বজ্র কন্ঠ…
এবারের সংগ্রাম- মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম- স্বাধীনতার সংগ্রাম
জাগাও রে জাতি!মুক্তি সোপানের মূলনীতি।
মুক্তি যুদ্ধের অমর শ্লোগান ‘‘জয় বাংলা’’ ধ্বনি ।
এ বুকে উড়ে বিজয় নিশান, তবু শূন্য এ প্রাণ!
ক্ষমা কর হে পিতা,দিতে পারিনি প্রতিদান।
তুমি এতিম - হে বিজয়,
তুমি বিবর্ণ্- হে স্বাধীনতা!
----------------------