যখন পূর্ণিমার চাঁদ মাথা সই সই;
তখন আমি ক্ষেতে'র মাঝেতে বসিয়া ভাবছি তোমার  
                                                         কথা,
দক্ষিণে বাতাস এসে হৃদয়ে দিচ্ছে দোলা।
ক্ষেতটি জুড়ে সবুজ ঘাসের সুবাস
যেনো আজ পাখনা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে,
তাহারা আজ দক্ষিণে বাতাসের সাথে আনন্দে মেতে
                                                        উঠেছে।
যেনো মনে হচ্ছে কতশত কাল ধরে তাহারা অপেক্ষায় ছিলো এই দক্ষিণে বাতাসের।
আমার আজ বড় মনে পড়ছে সেদিনের কথা,
যখন এরকম দক্ষিণে হাওয়া বয়েছিলো দুয়ারে;
তুমি সেই হাওয়া উপভোগ করতে গেলে
গৃহে আমায় একা ফেলে।
আমার হৃদয়ে বারংবার বলেছিল
যেনো তোমাকে যেতে না দেই,
কিন্তু তুমি দোহাই দিয়ে বলেছিলে
ফিরে আসিবে আবার।
কিন্তু তুমি আর আসিলে না আমার গৃহে;
আমি সারাটি রাত উদ্দীপ্ত ব্যাকুল হৃদয় নিয়ে
অপেক্ষা করেছিলাম, তুমি আসোনি।
না জানি তুমি সেদিনের সে বাতাসে
কোথায় হারিয়ে গেলে,
কিভাবে মিশে গেলে সেই দক্ষিণে বাতাসের সাথে।


তোমার কি মনে পড়েনা পুরোনো দিনের সকল কথা
তুমি যখন আমার সামনে বসে
তোমার হাতটি দিয়ে আমার হাত;
শক্ত করে ধড়ে বলেছিলে আমায় -
ছেড়ে যাবেনা আর জীবনে।
তাহলে এখন কোথায় হারিয়ে গেলে তুমি?
কোথায় গেলো সেদিনের সে প্রতিশ্রুতি?
সে কথা আজো ভাবায় আমায়।
তোমার কি মনে আছে আজো;
যখন দুজন মিলে ইছামতীর তীরে
সোনাইল গাছের ফুল কুড়োতাম,
আর তুমি আমার কুড়ানো সকল ফুল
কত ছলাকলা করে নিয়ে যেতে।
আমিও প্রতিদিন তোমার সেই ছলাকলা
দেখবার জন্যই সেখানে ফুল কুড়াতাম।
তোমার কি মনে পড়ে যখন;
বিপ্লব'দার বাগানে দুজন মিলে বকুল বৃক্ষের তলে
শত শত ফুল কুড়োতাম,
আর ফুলের গন্ধে যখন দুজনে আবেগপ্রবণ হয়ে
ভালোবাসার রাজ্যে রাজত্ব করতাম।
তখন তোমার চোখে আমার জন্য; যে লুকানো
ভালোবাসা দেখতে পেতাম,
সেগুলো এখন কোথায় হারিয়ে গেলো।
কতটা বছর হয় আমি দেখিনা সে ভালোবাসা।



৮:৪৮রাত
১১ই ফাল্গুন ১৪৩০বঙ্গাব্দ
২৪ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং