আমি পল্লবি ফুলের সুভাসে মত-হারা,
আমি চপালি-বকুল,বেলি ফুলের সুভাস
বসন্তের শো-শো দখিনা হাওয়া।
আমি ঐ রদ্রু যুক্ত আকাশের-
এক পাল শূভ্র মেঘের ছায়া।।
আমি ঐ বিকালের পাল তোলা নায়ের মাঝি,
যে বিকাল সূর্য্য মোছার অপেখ্খায়,পাস থেকে উরে যায় পাখি।
আমি শান্ত নদীর গুড়ো-গুড়ো ঢেউ,
যার উপর পরেছে,সুন্দার কিরনমালা।
আমি এই অগ্রহানে নর্বনের মেলা,
আমি আমনের খেত,চাষিদের গান গাওয়া পালা।
কুয়াশায় মোড়া শীতের সকাল বেলা
আমি ঐ সকালের শিশির বিন্দু-
রাতের শীতল হাওয়া।
আমি শরতের পাকা তালের গ্রানে পাগল পারা,
আমি ঐ দূর আকাশের নীল,
শূভ্র মেঘে রৌদ্রু উজ্জলতা।
আমি নীল আকাশের পরী
শঙ্খ চিলের আনাগোনা।
আমি বসন্তের কুকিল,
যে সময়ে ফুলে-ফুলে ভরে যায় মৌ,
ফোটে হাজারো ফুল ভাগিচায়।
আমি শত রঙ্গ ফুলের হাজারো সুভাস,
হাজারো রকমারি।
আমি ঐ ভোরের দোয়েল
চুরাই পাখির কল-ধ্বনি।
আমি ঐ খেজুরের ঝরা রস
পূর্ন রসের হাড়ি।
তার উপর বসে আছে রস খেকো বুল বুলি।
আমি ঐ সপ্ত শালিকের ঝাঁক
যার মুখে এক টুকরা ছেড়া রুটি।
রাতেও হয় না ঘুম
বাঁশ ঝারে বসে করি চেচা-মেচি।
আমি ঐ ললনার ভালবাসা,
আমি তার লেখা গল্প-কবিতা-গান।
আমি তার হাতের আংটি-
পায়ের ঝুমুর,
সে আমার ভালবাসা মনের মন্দির।