তুমি আমার পূজার নৈবেদ্য
তাইতো আমি তোমাকে ছুই না ।
এমনকি তোমাকে স্পর্শ করি না
তোমার টোল খাওয়া গালের ঢেউ টা দেখি
আর ভাবি প্রস্ফুটিত পদ্ম প্রসারিত হয়েছে,
দেবির চরনে দেওয়া পদ্মে কাটা আছে
তাই তো আমি তুলতে পারিনা,
পদ্ম গুলো কে তুলার জন্য নিষ্পিষিত হই।
কিন্ত সূর্যের জলন্ত শিখা আমার ইচ্ছা গুলো
কে কুড়ে কুড়ে খায়।
আমি উদ্বেলিত হই আবার আলোড়িত হই
তোমার ঠোঁঠের রক্তাভ তিলটা স্পর্শ করার জন্য
তখনই কেউ হাতছানি দিয়ে বলে
তুমি আমার পূজার নৈবেদ্য।
আস্তে আস্তে মনের বাসনা গুলো কে
আবারও দেবির চরনে বিসাজন দেয়
বিসার্জনের বিদয়ের সুরে কিছুটা গরলের সাথে
সমুদ্র মন্থনের গর্জনের আওয়াজ টা শুনায়।
তার পরও বসে আছি
পূজার নৈবেদ্য সাজিয়ে
নিভৃতে নিষিক্ত মৌনতার নিলুপ্ততার
জাগারনকে উজ্জিবিত করতে।