নীলা চলে ভাসালে কেন আবার তরণী খানি
লীলাম্বরী, কেন দিলে নতুন করে তোমার পরিচয় খানি।
নীলেরও সম্ভাবনায় দীপ্ত জীবনের লীলাগ্নি
আজকে মন পারাবারে আনি দিলো কে সাগ্নি।
বিবস্ত্র অঞ্চল খানি নিয়োনা টানি দেখি আমি
তোমার ও চর্ম কুন্ডলের আবিরী মাখা মুখ খানি।
নতুন সূর্য় দয়ের আলোর সাজাতে তারে বর্ণালী
পরাণের কামনা দগ্ধ হুতাশনে দিয়েছ ঢালি
বেঁধেছি হাতেতে তাহার চির পরিচয়ের রাখী বলী।
রাখী রাঙ্গা হাত দু’টি ভরে রেখেছো শাখা আর মঙ্গল সূত্রে
দেখে দেখে জুড়াই এ চোখ আমি নিরবধি।
দীপ্ত শপথের গোপন রাতে তোমার অভিসার
ধৈয়ায় মনের মাঝে কোন সুর খানি আমার।
তোমার সমুদ্রে লীলাম্বু রাশির আর্বতে পড়ে
ঊষসী হলুদ বসন্ত ধীরে ধীরে যায় বিস্মরে।
হেমন্তিকা কর্ম কুন্ডলে তোমার বেঁধেছি যে কুন্ডল
ত্রিধারার সঙ্গমে জাহ্নবী যমুনায় হোক চিরচঞ্চল।
উত্তল প্রলয়ে যাই ভুলে হিংসাদ্বেষ
প্রচ্ছন্ন মহিমায় বন্ধনা “রচি” তোমায় হে অমেয়া
দৃষ্টির মুকুরে তোমার মালা পাক শোভন এ হিয়া।