একদা এক বনের মাঝে কপোত রাণীর বাস
সঙ্গী বিহীন জীবন যাপন কষ্ট করি চাষ।
বনোপথে ঘুরতে ঘুরতে হায়েনার সাথে দেখা
কপোতী ভাবলো এবার উঠবে সুখের রেখা।
সরল মনে তার কাছেতে বলল মনের কথা
অনেকখানি লাঘব হল একাকিত্বের ব্যাথা।
এমনি করে হায়েনার সাথে গল্প জমে যায়
সম্পর্কের রসায়নটা উর্ধ্বপানে ধায়।
কপোতী এটা-সেটা সব কিছুরই হায়েনাকে দেয় ভাগ
হায়েনা ভাবে চলছে ভালো, এমনি করেই যাক।
পিউ পাখির নীলাকাশে স্বপ্নসুখের ভেলা
রঙীন সুতোয় চঞ্চলতায় কাটছে সারা বেলা।


একটু পেলে পাওয়ার আশা হাজার বেড়ে যায়
কোন ধাতুতে হৃদয় গড়া পেলেই পেতে চায়?
সুখের বাতাস ধীরে বহে , হতাশ আসে ধেয়ে
প্রত্যাশা-আকাঙ্খা হল জীবন নায়ের নেয়ে।
সম্পর্ক-প্রত্যাশা মিলে চালায় সোনার রথ
মাংস খেকো ভালবাসা খুঁজতে থাকে পথ।


ছোট্ট পাখির যৌবন নদে ডেকেছ আজ বান
এ বন থেকে ও বনেতে করছে যে আনচান।
ভ্রমর এখন বন্ধু যে তার কাঠবিড়ালী সই
ফুলের সাথে নৃত্য করে দেখেই বিভোর হই।
ফুল-পাখি আর প্রজাপতি বন্ধু হল তার
হায়েনা এসব ভেবে ভেবে পুড়ে হল ছাড়।
হায়েনা এবার রক্ত খাওয়ার ফন্দি করে বার
সরল পাখির অন্তরেতে নেইতো খবর তার।
পিশাচ বন্ধু বিসুখ হবার ভানটি করে বসে
যাতে করে ছোট্ট পাখি ছুটেই চলে আসে।
হায়েনাবাড়ি কপোত রাণীর যেইনা আগমন
ওদের দু'জন আটকে রেখে বাইরে সমাগম।
হায়েনাগুষ্ঠি হায়েনাই হয় বুঝলনাতো সে
কপোতীর রক্ত খেল একলা ঘরে পেয়ে।
নরকলীলার সঙ্গমে আজ আকাশ বাতাস ভারি
কপোতী ভুলে ছিল, সে হলো এক নারী।


বন্ধুত্ব-ভালবাসা হোকনা যত সৎ
নারী-পুরুষ সম্পর্কের একটা খোলা পথ।
শরিরবিহীন মনের সাথে সম্পর্ক কী হয়?
সৃষ্টিতত্ত্বের আদী পর্বে জৈবিকতা রয়।


রক্তচোষা হায়েনাগুলো বুলায় মাথায় হাত
মা'গো ও তোরে ভালবাসে ছাড়িস'না ওর সাথ।
তোরে না পাইলে ওতো মরেই বুঝি যাবে
মুখটি কালা দেখলে তবে বড়ই দুঃখ পাবে।
বুঝিসনা ভুল তুই'যে ওকে যতই করুক রাগ
মোদের কথা ভাবিসনা তুই তোরাই ভাল থাক।
হায়েনাগুলোর মিষ্টি কথায় দুঃখ-ব্যাথা ভুলে
কপোতীর সকল সুখ হায়েনাকে দেয় তুলে।