আমি শ্বেতবামন হব, ওজন বাড়াব,নিজেকে নিঃশেষ করে
       লুব্ধকের পাশে,  প্রেমের আশে,  ঘুরব  জীবন ধরে।
           সপ্তর্ষির প্রেম পেয়ালায় জল জল করব পান
             ক্যাসিওপিয়ার দুঃখগুলো এবার হবে ম্লান।
               প্রভাস আমায় দিবে আভাষ, কৃত্তিকা রয় কই
                  পাঁচ ডিগ্রি দূর ক্যাস্টর রহে, পোলাক্স যে তার সই।
                    কালপুরুষের জৈষ্ঠ কন্যা আর্দ্রা দিদি এসে
                   হাতে দিল এম ফোরটি টু, বড় ই ভালবেসে।
                  অর্ণবযান-এ দেখতে আসে অগস্ত্য ঐ মুনি
               আসবে কবে স্বাতী দেবী তার'ই প্রহর গুনি।
সবার বামে আলজাইবা, অভিমানে গোমড়া হয়ে আছে
          সবুজ শাড়ির সৌম্যকীলক উঠছে তুলা গাছে।
       লাল জামা'তে পারিজাত'কে বড় ই ভাল লাগে
     তাই'না দেখে মঙ্গল দেবীর মনে হিংসা জাগে।
      নীল নভের ই মিসিসিপি আশের্নার তার নাম
        অভিজিৎ তার প্রেমের বানে রচে আলোর বান।
             দেনেব সে তো জম্ন থেকে এক ই রকম রয়
               অ্যানড্রোমিডা রইলে সাথে আর করি না ভয়।


[ কিছু আলোচ্য...
(১) শ্বেতবামন= জ্বলে-পুড়ে শেষ হয়ে যাওয়া তারা, যে অভিকর্ষণ কেন্দ্রের চার দিকে ৫০ বৎসরে একবার পরিভ্রমণ করে।
(২) লুব্ধক= সারা আকাশে সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল তারা।
(৩) সপ্তর্ষি= এটি একটি তারা মন্ডল, জ্যোর্তিবিদরা এ তারকা রাজিকে হাতল আলা পেয়ালা রূপে অঙ্কন করেছে।
(৪) ক্যাসিওপিয়া= এ তারকামন্ডল কে সিংহাসনে উপবিস্ট    ইথিওপিয়ার রাণী রূপে কল্পনা করা হয়।
(৫) প্রভাস= লুব্ধকের পূর্বপাশে অবস্থিত শূণীমন্ডলের একটি উজ্জ্বল তারা। প্রভাস, লুব্ধক এবং আদ্রা মিলে আকাশে এক বৃহৎ ত্রিভূজ গঠন করেছে।
(৬) কৃত্তিকা= এটি একটি গুচ্ছ তারা, এর সবচেয়ে উজ্জ্বল তারার নাম দেবসেনা।
(৭) ক্যাস্টর ও পোলাক্স= এরা মিথুন রাশির দুটি তারা, এদের মধ্যে ব্যবধান মাত্র পাঁচ ডিগ্রি।
(৮) কালপুরুষ= বিশাল ঢাল- তলোয়ার হাতে এক যোদ্ধার ছবি কল্পনা করা হয় মহাকাশে তারাকারাজি দিয়ে, যার প্রথম তারা হল আদ্রা।
(৯) এম ফোটি টু বা M42= এটি হল কালপুরুষের নিহারিকা, সারা আকাশে এমন সুন্দর নিহারিকা আর একটিও নেই। এর ভেতরের পদার্থ প্রতি সেকেন্ডে ১৪ মাইল বেগে আলোড়িত হচ্ছে।
(১০) অর্ণবযান ও অগস্ত্য= অর্ণবযান একটি মন্ডলের নাম আর অগস্ত্য হল অর্ণবযানের একটি উজ্জ্বল তারা। সারাকাশে উজ্জ্বলতায় এর স্থান দ্বিতীয়।
(১১) স্বাতী= বুটিস মন্ডলের প্রথম শ্রেণীর প্রথম তারা এটি। এর রঙে হালকা লাল আভা আছে। সূর্যের থেকে এর ব্যাস প্রায় ৫০ গুন বেশি। ১৯৩৩ সালে চারটি মান মন্দির থেকে স্বাতীর আলোকে কেন্দ্রিভূত করে শিকাগো শহরে বিশ্বমেলার উদ্ভোধন করা হয়।
(১২) আলজাইবা= সিংহরাশির একটি সুন্দর জোড়াতারা। কোনো গ্রহ'ই এ তারাটির উত্তরে যেতে পারে না।
(১৩) সৌম্যকীলক= এটি তুলারাশির দ্বিতীয় তারা। সারা আকাশে একমাত্র এই তারাটিকেই খালি চোখে সবুজ দেখা যায়।
(১৪) পারিজাত= এটি একটি অতিদানব লোহিত তারা। মঙ্গল গ্রহের সাথে মিল রয়েছে বলে মঙ্গলের প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে কল্পনা করা হয়।
(১৫) আশের্নার= যামি মন্ডলে অবস্থিত দক্ষিণ দিগন্তের কাছা কাছি বেশ বড় তারা। এ তারটি'কেই বলা হয় 'আকাশের মিসিসিপি'।'
(১৬) অভিজিৎ= বীণা মন্ডলে অবস্থিত উত্তরাকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা। এ তারাটি ১২০০০ বৎসর পর ধ্রুবতারাতে পরিণত হবে।
(১৭) দেনেব= বকমন্ডলের প্রথম তারা। এটি একমাত্র তারা যার কোনো পরিবর্তন নেই।
(১৮) অ্যানড্রোমিডা= এটি একটি তারকামন্ডল। দুঃখের রাণী অ্যানড্রমিডার নামানুসারে এর নাম করন করা হয়। ]