১৪২৬ এর আষাঢ়ের বৃষ্টিভেজা ভোর;
স্যাদলা পড়া উঠোন,শ্যাওলা লেপ্টে থাকা যতনে রাখা দেওয়াল-
আর কখনো ভিজে না সরোবরের শতদল।
আষাঢ়ের পর আষাঢ়...তারপর আষাঢ়....
তবুও অসাড়।
তবুও ভিজেনা বেতবনে জড়ানো কচুপাতার মত হৃদয়দল!
যদিও জ্যোৎস্নারাতের ঘাঁইহরিণী,
হিংস্র বাঘের লালসায়......
ছেলেটা তার যুবতীর কাছে কল্কির ঘোড়া,জন্মাবধি ঘরপোড়া,
আর জন্মাবধি এক মৃত পুকুর.....


সূর্যালোক হয়ে,গভীর জলের খাদ ছুঁয়ে-
শ্যাওলা ছেড়ে,স্যাদলার মাটি দুর্বাবনে ঢাকে।
শীত আর শিশিরের জলে......
কচুপাতা অলক্ষ্যে যায় লাল বেত ফলে!
অষ্টাদশী মিলে যায়,সোনালি চিলের ঠোঁটের ডগায়,
অষ্টপ্রহরের অ্যারিথমিয়ার খবর কে আর রাখে?
মৃত ইলিশের চোখের মত নিথর অসূর্যম্পশ্যা নিষ্প্রাণ জীবন;
তবুও মুখ দেখে ভোরের,সূর্য আর ঘুটঘুটে আঁধারের?

সে কি কোন পূর্ণিমার চাঁদ দেখে মুগ্ধ হয়েছিল কোনদিন?
সেও কি কখনো জ্যোৎস্না ধারায় মাতাল হয়েছিল?
সে কি কখনো উন্মাদ নৃত্য করেছিল বর্ষার বারি ধারায়!
প্রশ্ন তোলা থাক,নক্ষত্রের শিয়রে শকুন ঘুমায়!
প্রতিবার উপলব্ধি আমার প্রত্যাশিত আগামীকাল শুধুই স্বপ্ন!