(১) তুমি প্রথম যেদিন বলেছিলে


প্রেম করা কি এত সোজা কথা। প্রেম করলে দিন-রাত  চিন্তা করতে হয়, হতাশায় ভুগতে হয়, রাত্রি জেগে কল্পনা করতে হয়।


আমি প্রথম যেদিন প্রেম করেছিলাম, সে কি আনন্দ আমার। কিন্তু হঠাৎই সব মিইড়ে গেল। আমি হলাম নিঝুম প্রদীপ।


আজ আবার প্রেম করলাম, কি আনন্দ। আজ মনে হয়, আমার প্রথম প্রেমটা প্রথম প্রেমের মত করে  করা হয়নি।


( ২) একটি নামহীন কবিতা


চল চল জাপান যাই।সেখানে ফুল ফোটে, চাঁদ ওঠে, পাখিরা কথা কয়; কত আনন্দ হবে।


সেখানে নারীরা সকাল হলে  পাতা উঠায়, শিশুরা ঢাকঢোল পিটায়, গাভী ঘাস চরে।সে এক আনন্দের লীলাভূমি।


এক কবি এখানে এসেছিলেন। সে কথা লিখে গেছেন তার ডায়েরিতে। সে কথা আমি পড়ি।যেন আনন্দ আমাকে ছেয়ে যায়।


জাপান যদি দূর দেশ না হয়ে আমার জন্মস্থান হত কতইনা আনন্দে দিন কাটত।লিখতাম, ও আমার স্বদেশভূমি....।


জাপান, তুমি আর দূরে যেওনা এখানেই থাক।এখানেই তোমার পিতামহ, মাতামহ, প্রপিতারা থেকে গেছেন।


(৩) গোলাপের ঘ্রান


প্রথম কবে ফুলটি ফুটেছিল কেউ জানেনা।


শুধু জানে, ফুলটি গোলাপ ছিল।


সে গোলাপ তুমি।


তোমাকেই ভালবাসি।


তুমি নতুন গোলাপ হয়ে ফোট।


(৪) অনিন্দিতা


তুমি হাঁটলে পাখি ওড়ে।
তুমি চুলে তা দিলে পাখি ওড়ে।
তুমি আয়নায় ছবি আঁকলে পাখি ওড়ে।


পাখি ওড়েনা শুধু তুমি হাসলে।


তুমি এ হাসি হাসলে কেন?


(৫) পাশের বাড়ির মেয়েটি


আমার বাড়ির ধারে একটি পুকুর আছে।সেখানে আমি প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজতে যাই।দুপুর হলে গোসল করি।বিকেলে হাত-মুখ  ধুই।


এত সুন্দর করে এটি সৃষ্টি করেছেন কে? নিশ্চয়ই আল্লাহ। আল্লাহকে আমি  ভালবাসি।বলি, আরও একটি এরকম মেহেরবান দাও।


এ পুকুরে সাপ, জোঁক, ব্যাঙ কিছুই নেই।আছে শুধু মাছ।সে মাছ আমি খাই।কি মিষ্টি!  যেন রায়গঞ্জের তিতো ফল।


দরকার হলেই সেখান থেকে বালতি ভরে পানি আনি।আমার মেঝে প্রায়ই অপরিষ্কার থাকে। সে পানিতে মেঝে  পরিষ্কার করি।


পুকুরের তিন পাড়ে তিনটি পিলার আছে। তার একটিতে আমার নাম খোদাই করা আছে। আমি প্রতিদিন বিকেল হলে  সেটি দেখতে যাই।


পুকুরের ঠিক দক্ষিণ পাড়ে একটি ঢিবি তৈরি করেছি। সেখানেই আমি আমার শেষ আশ্রয় গ্রহণ করবো বলে ঠিক করেছি।