আজ মনটা সত্যি অনেক উদাস হয়ে আছে। চারিদিকে মাতাল করা বৃষ্টি মনটাকে আরও ব্যাকুল করে তোলে। কোন কাজেই যেন মন বসে না। নিজের অজান্তে মনে বেজে উঠে......আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে,
জানিনে জানিনে কেন যে কিছুতে মন লাগে না।।


অঝোর ধারায় নামে বৃষ্টি,মাঠ-ঘাট পানি থৈ থৈ। পিচের রাস্তায় পানি উঠে গেছে। পানির তোড়ে পিচটুকু আর দেখা যায় না। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করছে গোড়ালী পানিতে চুবিয়ে রাস্তায় কিছুক্ষণ হেঁটে বেড়াই। শুধু কি তাই! অঝোর ধারার বৃষ্টির ফোঁটা যখন ছাদে এসে পড়ে তখনও আমার ছাদে যেতে ইচ্ছে করে। কখনও-সখনও উঠেও যাই।আশে- পাশের বাড়ী গুলোকে এক-একটা থামের মত মনে হয় কি বিশাল বিশাল। হঠাতই ঝাপটা লাগে মুখে। আর মনে মনে গাইতে থাকি.........এসো নিপবনে ছায়া বীথি তলে। বাপরে! এখানেও রবীন্দ্র নাথ!


বুঝেছি আজ আমাকে রবীন্দ্র নাথে পেয়েছে। তা পাক। বরষার এমন মন কাড়া রূপ বাংলার আর কোন কবি এমন সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন বলে আমার জানা নেই। তাই বরষাকে নিয়ে কিছু বলতে গেলে রবীন্দ্র নাথকে বাদ দিয়ে বলা অসম্ভব। রবীন্দ্র নাথ আমাদের ধ্যানে-জ্ঞানে-সত্ত্বায়, মিশে আছে বাঙ্গালী অস্থি-মজ্জায়। তাইতো বৃষ্টির সঙ্গে সামান্য বাতাস বইতে শুরু করলেও আনন্দে গেয়ে উঠি........পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে পাগল আমার মন নেচে উঠে।