বসন্ত এলে নামোচ্চারণ
অজিত কুমার কর

সারাটা বছর পলাশ শিমুল অশোক অপাঙ্ক্তেয়
জীবনযাপন কীভাবে ওদের রাখে না কেহই খোঁজ
ফাল্গুন এলে যখন রং ছড়ায়
গুণকীর্তন ছড়ায় ও কবিতায়
ছবি দেখে আর কবিতাও পড়ে পাঠক তখন রোজ
চোখের আড়ালে নিভৃতেই থাকে বুঝে যায় এটা শ্রেয়।

ফুল ফুটলেই কীটপতঙ্গ কত পাখি আসে কাছে
রাত পোহালেই সবাই হাজির ভরে কলকাকলিতে
দখিনা পবনে ঝরে পড়ে ফুল কত
ভাসে ভ্রমরের গুঞ্জন অবিরত
যতটা ক্ষমতা ওদের রয়েছে কুণ্ঠা করে না দিতে
আনন্দ দিয়ে আনন্দ মেলা, তাতেই হৃদয় নাচে।

শুধু কী মানুষ পাখিরাও ভোলে নিঃসঙ্গ দিন কাটে
পাতা গজালেই পাখপাখালির ফের আগমন ঘটে
কিন্তু মানুষ সকলেই দূরে রয়
জৌলুসহীন বৃক্ষ বই-ত নয়!
কত বৃক্ষের মৃত্যু হয়েছে এ খবর যায় রটে
প্রবল খরায় তপ্ত দুপুরে তৃষাতে বক্ষ ফাটে।

এটাই দেখছে আজন্মকাল বৃথা তাই আপশোশ
বসুন্ধরার কৃপায় জীবন দিয়ে চলে প্রাণবায়ু
পরিশেষে মেলে জননীর কোলে ঠাঁই
ওতেই ওদের তৃপ্তির সীমা নাই
ওরা বেশ জানে অসীম তো নয় জীবনের পরমায়ু
তাই নির্বাক চাপায় না ওরা মানুষের ঘাড়ে দোষ।

© অজিত কুমার কর